** যদি তোমার সঙ্গে কখনও দেখা না হত, আমি ব্যথা অনুভব করতাম না। তোমার মধুর ভালবাসা হারানোর, আমি হতাশ বোধ করতাম না। হ্যা, যদি আমাদের একটা তামিমের সাথে দেখাই না হতো তাহলে হয়তো আজ এভাবে কালো মেঘের মতো সবকিছু অন্ধকার করে, চট্রগ্রামের আকাশটা কাঁদতো না।
সাগরিকাকে বলা হয় বৃষ্টির এলাকা। গতকাল ম্যাচেও যার প্রমান ছিলো। থেমে থেমে বারবার বৃষ্টি পরেছিলো, একটা সময় ম্যাচের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। হারতে হয় বাংলাদেশকে। কিন্তু, কে জানে সেই বৃষ্টিই যে হবে দেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে ভয়াবহ বৃষ্টি। এর কারনে যেমন হারতে হয়েছে প্রথম ওয়ানডে, তেমনই আজ বৃষ্টির রেশ না কাটতে কাটতে বাংলার আকাশে বর্জপাতের মতো আসলো তামিমের কাছ থেকে ভয়াবহ সিদ্ধান্ত। দীর্ঘ পনেরো বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতি টানলেন খান সাহেব। যেই চট্রগ্রাম থেকে জীবনের পথ চলা শুরু। এই শহরেই তার ভেড়ে উঠা, পথচারন প্রতিটা অলিগলিতে। সেখানেই আজ জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত, সবচেয়ে বড় পথ চলার ইতি টানলেন খান সাহেব। ছেড়ে দিলেন ক্রিকেটটা, ছেড়ে দিলেন লাল সবুজ জার্সীটা।
গতকাল, ফারুকির বলে সেই ফ্লিক করতে গিয়ে আউট হওয়া বলটাই যে শেষ বল তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, কে জানতো? হয়তো জানতো বিধাতা, কিন্তু তা এখনও বিশ্বাস করতে পারছে না টাইগার ক্রিকেটের কোটি ভক্ত, সমর্থকরা। কে জানতো এমন একটা দিন আসবে ক্রিকেটে, এভাবেও কাঁদবেন তামিম আমাদের মাঝে। এভাবে, ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে সকল স্বপ্ন মিলাবে অজানা মেঘের রাজ্যে! সেটাও বোধহয় ঠিক করে রেখেছিলেন সৃষ্টিকর্তা। তাই তো এমন আকর্ষিক কান্ড ঘটলো এদেশের ক্রিকেটে।
এমন দিন আর না আসোক, যেমনটা হয়েছে আজ। দেশের ক্রিকেটে একটা সোনালী প্রজম্মের অবসান। তামিম, নামক একটা ক্রিকেট মস্তিষ্কের বিদায়। কিন্তু, সেই বিদায়ের মাঝে আমরা কি করে ভুলি তার এতশত অবদান। অভিমানি কন্ঠে কেঁদেছেন তিনি, কেঁদেছে এই আকাশ, যেমন করে কাঁদছে পুরো বাংলাদেশ ক্রিকেট। সবাই আজ বলতেই পারে শেষটা কি আরেকটু সুন্দর হতে পারতো না? পারতো, যদি অভিমানি না হতেন তিনি, তাহলেই পারতো।
এমন আর প্রেস কনফারেন্স বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে না আসুক, ভুলে যাক সবাই যদিও ভুলা যাবেনা তামিমকে আর কোনোদিন। কারন, তিনি থাকবেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রতিটা স্মৃতির পাতায়, থাকবেন প্রতিটা আঙ্গিনায়, থাকবেন এশিয়া কাপের সেই এক হাতে ব্যাট করা সাহসিকতায়।