— কথায় আছে জোর করে কেউ কাউকে সড়াতে পারেননা দায়িত্ব থেকে। সেটাই হয়তো এখন জাতীয় দলে হচ্ছে। হয়তো কথাটা এইক্ষেত্রে একটু বারাবাড়ি হবে, কিন্তু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের যায়গায় যারা সুযোগ পেয়েছেন তারা কি শতভাগ সাফল্য পেয়েছেন? সেই ধারাবাহিক পরিক্ষার শেষ অংশ হিসেবে আজ আফিফকে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু, তিনিও ব্যর্থ একই ভাবে। তাহলে, কি আফিফও বাদ পরবেন সাত নম্বর পজিশনে, আর আবারও রিয়াদ ফিরবেন জাতীয় দলে? সেক্ষেত্রে পরিসংখ্যান কি বলছে, সব বিশ্লেষণ থাকছে জিসান মাহমুদ শ্রাবনের লেখা প্রতিবেদনে……
— লেগ স্টাম্পে পিচ করা বলটা ডিফেন্সিভ পুষ করতে চেয়েছিলেন আফিফ! কিন্তু, রাশিদের লেগ স্পিনে বোকা বনে যান তিনি, বল গিয়ে আঘাত হানে প্যাডে। বোলার আবেদন জানালেও আম্পায়ার সারাদেননি। সেই যাত্রায় বেঁচে গেলেও, রিভিউ নিয়ে দেখা যায় ঠিকই আউট হয়েছেন তিনি। তাই, ফিরতে হয় সাজঘরে৷ আফিফ যখন মাঠে ছিলো তখন স্কোর ছিলো ১২৮ রানে ৫ উইকেট, আর তিনি বিদায় নেন ৬ নম্বর উইকেট হিসেবে। কিন্তু, ম্যাচের এমন পরিস্থিতিতে আফিফের এমন আউট নিশ্চিত ভাবে মেনে নিতে পারছেন না অনেকে। কিন্তু, বাংলাদেশ যখনই এমন পরিস্থিতিতে পরেছে শেষ ভরসা কে ছিলেন মনে পরে? সহজেই বলে দিবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নাম। কিন্তু, বছরের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেই নিজের শেষ ম্যাচটা খেলেছিলেন তিনি। এরপর, স্টাইক রেট জটিলতায় বাদ দেওয়া দল থেকে। বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী কোচ হাথুরুসিংহের বিশ্বকাপ ভাবনায় যে নেই তার নাম সেটাও অনেকটা পরিষ্কার। যদিও, সাত নম্বর পজিশনে অনেকের ধারনা ছিলো রিয়াদের নামটাও আসবে আরো একবার । কিন্তু, নির্বাচক ও কোচ বাছাই করে নেন আফিফকে। বলা হচ্ছে রিয়াদ হজ করার জন্য ছুটি নিয়েছেন বলেই এই সিরিজে আমলে আনা হয়নি তার নাম। কিন্তু, এই সিরিজ পরে কি করবেন ?
সেই প্রশ্নটা তোলা থাকবে নির্বাচকদের কাছে। এখন দেখে আসি আফিফের শেষ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের পার্ফম। আজকের ম্যাচ বাদে, আফিফও বাদ পরেছিলেন রিয়াদের মতো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে। সেই সিরিজে তিনি করেছিলেন মাত্র ৪৭ রান, এর আগে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে করেছেন তিন ম্যাচে মাত্র ১৪ রান। অর্থাৎ, স্টাইক রেট তো দূরের কথা সাত নম্বর পজিশনে আফিফ ধারাবাহিক ব্যর্থতার মাঝে আছেন দীর্ঘদিন ধরেই। এবার, দেখি রিয়াদের পার্ফম। রিয়াদ শেষ কয়েক ম্যাচের প্রায় প্রতিটায় ব্যাট করতে নেমেছেন আজকে আফিফ যেই মুহুর্তে ব্যাট করেছেন সেই পরিস্থিতিতে। কিন্তু, এমন পরিস্থিতি রিয়াদ ঠিকই সামাল দিয়েছেন। এমনকি, বাদ পরা সিরিজে তিনি তিন ম্যাচে করেছিলেন ৭১ রান। আর ভারতের বিপক্ষে করেছেন ১১১ রান। এই পরিসংখ্যান বলছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রিয়াদ আফিফের চাইতে সাম্প্রতিক পার্ফম বিবেচনায় বেশ এগিয়ে। এছাড়া, ডিপিএলের পার্ফম বিবেচনায় আফিফকে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, সেখানে তিনি খেলেছেন চার নম্বর পজিশনে। অর্থাৎ, এক্ষেত্রে বলাই যায় আজকের পার্ফম বিবেচনায় আফিফ যদি এই সিরিজেও এমনই করতে থাকেন তাহলে, এশিয়া কাপে আফিফ নন রিয়াদই টিকিট পাবেন পাকিস্তানের।